রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী সেই ভ্যানচালক ইমাম শেখের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে যশোরের বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-র গোপালগঞ্জের বাসভবনে বিমান বাহিনীর ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের হাতে ইমাম শেখকে তুলে দেয়া হয়। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমিন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইমাম শেখের ভ্যানে চড়ে টুঙ্গিপাড়ার গ্রাম ঘুরে দেখেন। সংবাদটি বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়ার পর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় দরিদ্র ভ্যানচালকের। কাছে পেয়েও তার মনের কথা প্রধানমন্ত্রী বলতে না পারার কষ্ট এখন আর তার নেই। না চাইতেই ইমাম শেখের সব স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে ইমাম আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি আমার একটি চাকরি হবে। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন আমার ভ্যানে না উঠলে হয়তো সারজীবন আমার এ স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যেত। আমি মুরুববীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর কথা শুনেছি। তিনি খুবই দয়ালু ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যে তার বাবার মতো দয়াবান তার প্রমাণ আমি পেয়েছি। আমি ও আমার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। দোয়া করি আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘায়ু দান করুন। বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে নাম না প্রকাশের শর্তে তারা জাগো নিউজকে জানান, ইমাম শেখকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী একটি ভাল চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ইমাম শেখ প্রধানমন্ত্রীকে তার ভ্যানে চড়িয়ে টুঙ্গিপাড়ার গ্রাম দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এজন্য তাকে বকশিস দেয়া হলেও সে তা নিতে রাজি হয়নি। গরীব হলেও সে কোনো লোভ করেনি। প্রধানমন্ত্রী তার কথা-বার্তা ও আচরণে খুশি হয়ে তার জন্য একটি চাকরি ব্যবস্থা করছেন। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করছি এ চাকরির মাধ্যমে ইমাম শেখের পরিবারের দুঃখ-কষ্ট ও অভাব-অনটন লাঘব হবে।